লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। শনিবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

রোববার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব ধরনের নির্বাচন পরিচালনায় অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। সরকার নির্লজ্জভাবে সব নির্বাচনে বেআইনি হস্তক্ষেপ করছে। তাই বিএনপি এসব নির্বাচনে এবং লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

স্থায়ী কমিটির ওই সভায় জিয়াউর রহমান এবং ১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে সরকারপ্রধানের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। নেতারা বলেন, সরকারপ্রধানের বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রয়াস। এরই মধ্যে জিয়াউর রহমানের 'বীরউত্তম' খেতাব বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, 'বাংলাদেশের ইমেজ' সম্পর্কে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনার জন্য আইনজীবী ফোরামের নেতারা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ ছাড়া সভায় দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সেলিমা রহমানের আশু রোগমুক্তি কামনা করা হয়। 

প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার মওদুদ সিঙ্গাপুরে অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় এবং সেলিমা রহমান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পাঠকের মন্তব্য