৬ ঘণ্টা পর সচিবালয়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন প্রায় ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ওই ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এর মিনিট দুয়েক পরই সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আগুনের তীব্রতা বাড়লে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট অগ্নিনির্বাপণ কাজে যোগ দেয়।
ভোর পাঁচটার পর ফায়ার সার্ভিসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট কড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। বাইরে থেকেও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। এরপর সচিবালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি সদস্যদের।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, পানির পাম্প থেকে লাইনের সংযোগ দিতে সড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সোহানুজ্জামান নয়ন আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। সোহানুজ্জামান তেজগাঁওয়ে স্পেশাল ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়।
আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি সাংবাদিকদের বলেন, এখনো সেটা জানা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভানোর পর তদন্তে বিষয়টি জানা যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভবনের ভেতরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখন পর্যন্ত তাঁরা জানতে পারেননি।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ বিভাগের অফিস রয়েছে। এই ভবনে রয়েছে- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।