প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে সিএসই ফ্রেশার্স রিসেপশন ও অরিয়েন্টেশন
-
- - নিউজ -
- ডেস্ক --
- ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
৩০ নভেম্বরের দুপুরটা গুলশান–১ এর এলিট কনভেনশন হলে যেন একটু আলাদা উজ্জ্বলতায় ভরে উঠেছিল। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল ফ্রেশার্স রিসেপশন ও অরিয়েন্টেশন ২০২৫—একটি দিন, যা শুধু নতুন যাত্রার আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং একাডেমিক জীবনের প্রথম উষ্ণ স্বাগত।
হলের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই নবীনদের চোখে-মুখে ছিল কৌতূহল, উত্তেজনা আর একটু মধুর অনিশ্চয়তার মিশেল। ঠিক তখনই তাদের সামনে উপস্থিত হন এমন কিছু মানুষ, যাদের উপস্থিতি যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে দাঁড়ায়।
ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ—বাংলাদেশে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কনটেস্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ, ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর— তার ভাষণে শুধু প্রযুক্তির কথা নয়, বলেছিলেন মানুষের কথা, স্বপ্নের কথা। তার অরিয়েন্টেশন বক্তব্যে নবীনদের চোখে নতুন উজ্জ্বলতা দেখা যাচ্ছিল।
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল কবির নবীনদের স্বপ্ন বুনতে উৎসাহ দেন। অভিজ্ঞতার নির্যাস থেকে বলা তার কথাগুলো শিক্ষার্থীদের মন ছুঁয়ে যায়।
এ আয়োজনের সার্বিক নেতৃত্বে ছিলেন প্রফেসর ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈম (ডিন, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিভাগীয় প্রধান, সিএসই)— যিনি দৃঢ়তা এবং দায়িত্ববোধ দিয়ে পুরো অনুষ্ঠানটিকে একটি পরিবারিক মিলনমেলায় রূপ দেন।
বিকাল ৩টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হলে কথা ওঠে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ, গবেষণার গুরুত্ব, এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখার প্রেরণা নিয়ে। শিক্ষার্থীরা জানতে পারে বিভাগের ল্যাব, কোর্স, প্রতিযোগিতা, গবেষণা কার্যক্রম এবং শিল্প–সহযোগিতার সুযোগ সম্পর্কে।
এরপর শোনানো হয় বর্তমান শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের সাফল্যের গল্প—যারা কখনো এই নবীনদের মতোই প্রথম দিনটির উত্তেজনায় ভরা ছিল। তাদের অর্জন নবীনদের আত্মবিশ্বাস একটু বেশি করে জ্বালিয়ে তোলে।
এভাবেই শেষ হলো প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের ফ্রেশার্স রিসেপশন ও অরিয়েন্টেশন ২০২৫— নতুনদের জন্য বাড়ির প্রথম দরজা খোলার মতো একটি দিন। বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিখাতে দক্ষ, সংবেদনশীল এবং দায়িত্বশীল গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগটি তার উদ্যোগ ও সাধনা অব্যাহত রেখেছে।