মিডিয়া লিটেরেসিতে যুব সম্পৃক্ততা জোরদারকরণ, নৈতিক এআই ব্যবহার, ফ্যাক্ট-চেকিং ও সাইবারবুলিং সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা
-
- - নিউজ -
- ডেস্ক --
- ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
‘মিডিয়া লিটারেসিতে যুব সম্পৃক্ততা জোরদারকরণ: নৈতিক এআই ব্যবহার, ফ্যাক্ট-চেকিং ও সাইবারবুলিং সচেতনতা’ শীর্ষক কর্মসূচিটি ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ–এর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিটি আয়োজন করে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফর পিস (সিডিপি), সহযোগিতায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং রোটারি ক্লাব অব ভাওয়াল হেরিটেজ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং সিডিপি’র নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ ফেরদৌস কর্মসূচির সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
গঠনমূলক সেশন ও প্রশ্নোত্তর আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জানতে পারেন—কিভাবে এআই তথ্য ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে, কীভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ায়, এবং অনলাইনে বিকৃত ছবি, ডিপফেইক বা তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতার সূচকগুলো শনাক্ত করা যায়।
প্রথম সেশন ‘সাইবার নেটওয়ার্ক, এআই ও ডিজিটাল ক্ষেত্রে গুরুতর সংগঠিত অপরাধ সম্পর্কিত আইনগত কাঠামো’ পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আতিকুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সাইবার আইনসমূহ ও উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
দ্বিতীয় সেশন ‘সাইবার সিকিউরিটির রিয়েল-টাইম পরিস্থিতি: ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ ও ডিজিটাল সুরক্ষায় এআই ব্যবহার’ পরিচালনা করেন মো. আসিফুজ্জামান, সল্যুশনস স্ট্র্যাটেজিস্ট (Microsoft 365 & Copilot)। তিনি ডিজিটাল হুমকি, এআই-এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক ব্যবহার, এবং অনলাইনে যুবসমাজের দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
তৃতীয় সেশন ‘ডিজিটাল লিটারেসি ও যুব সম্পৃক্ততার গুরুত্ব নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার’ উপস্থাপন করেন রোটারি ক্লাব অব ভাওয়াল হেরিটেজের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ একরামুল হক, যিনি অংশগ্রহণকারীদের গঠনমূলক ও সচেতন অনলাইন অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন।
শেষ সেশন ‘সাইবারবুলিং প্রতিরোধ ও সমাপনী বক্তব্য’ প্রদান করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মি. হাসানুজ্জামান। তিনি সাইবারবুলিংয়ের প্রভাব, রিপোর্টিংয়ের গুরুত্ব এবং নিরাপদ ও সহায়ক ডিজিটাল আচরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সমস্ত সেশন মিলিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দের অংশগ্রহণে কর্মসূচিটি যুবসমাজের জন্য নৈতিক ডিজিটাল আচরণ, সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি ও নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তোলার বার্তা তুলে ধরে।