পাত্রীর খুঁজে নোবেল

দীর্ঘ দিন ধরে গায়ক নোবেলের সঙ্গে দাম্পত‌্য সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের। গুঞ্জন উড়ছিল, ভেঙে যাচ্ছে তাদের সংসার। সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর সালসাবিল নোবেলকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। গত ৬ অক্টোবর এ খবর প্রকাশ‌্যে আসে। তারপর বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি।

এবার পাত্রী চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলেন বিতর্কিত এই গায়ক। শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে এক স্ট‌্যাটাসে নোবেল লিখেন—‘পাত্রী চাই।’ এরপর শুরু হয়েছে সমালোচনা। এরই মধ‌্যে পোস্টে রিঅ‌্যাক্ট পড়েছে ৭৩ হাজার, কমেন্ট পড়েছে ২৮ হাজার। অনুপম নামে একজন লিখেছেন—‘তুমি সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করো ব্রো, বিবাহিত জীবনে তোমার তো সুখ নাই-ই, যাকে বিয়ে করবা তার কপালেও দুঃখ।’

নোবেলের পূর্বের বক্তব‌্য স্মরণ করে খাদিজা লিখেন, ‘মন্ত্রীর মেয়ে নাকি অপেক্ষা করে থাকে, তাহলে ফেসবুকে কেন পাত্রী চাই।’ মাশুরা বর্ষা লিখেছেন, ‘তোমার জন্য রানু মন্ডল একদম পারফেক্ট পাত্রী।’আরেকজন লিখেছেন, ‘কয়দিন সবুর করেন ভাই, মাত্রই তো ডিভোর্সটা হলো। অমনি পাত্রী খুঁজতেছেন। ঠুসঠাস বিয়ে করলে ঠুসঠাস আবার ডিভোর্স হয়ে যাবে।’ কটাক্ষ করে এমন অসংখ‌্য মন্তব‌্য করেছেন নেটিজেনরা। 

ডিভোর্স লেটার থেকে জানা যায়, বেশ কিছু কারণ দেখিয়ে নোবেলকে তালাকের নোটিশ দিয়েছেন সালসাবিল। কারণগুলো হলো— এক. স্ত্রী হিসেবে গত দুই বছর খোরপোষ না দেওয়া। দুই. স্বামীর মস্তিষ্ক বিকৃত। তিন. কাবিনের প্রদত্ত শর্ত লঙ্ঘন। চার. বিবাহ প্রদত্ত কাবিনের শর্ত লঙ্ঘন। পাঁচ. চরিত্রহীনতা, নির্যাতনকারী ও পরকীয়ায় লিপ্ত। ছয়. প্রচন্ড মারধর করে, মাদকদ্রব‌্য গ্রহণ করে। যদিও এসব নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া ব‌্যক্ত করেননি নোবেল। 

এর আগে রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে সালসাবিল মাহমুদ বলেন, ‘নোবেল আমাকে আগে থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল। এরপর থেকেই মূলত আলাদা থাকতে শুরু করি। এরপর আমি থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছিলাম।’

সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে নোবেল-সালসাবিলের পরিচয়। এই পরিচয় রূপ নেয় প্রেমে। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর বিয়ে করেন তারা।

পাঠকের মন্তব্য