মিরপুরে কেন এই ‘কালো পিচ’

মিরপুরে খেলতে এসে বিদেশি দলগুলো উইকেট নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পিচের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামিকেও গত দুই দিন নিয়ম করে পিচ পাঠ করতে দেখা গেছে। চট সরিয়ে কালো পিচের রহস্য স্যামি কতটা উদ্ধার করতে পারলেন জানা নেই। ক্যারিবীয় কোচ উইকেট ভালো না বুঝলেও স্বাগতিক কোচ ফিল সিমন্স ঠিকই জানেন। কারণ তাঁর চাওয়া মতোই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের উইকেট বানিয়েছেন টনি হেমিং। গামিনি ডি সিলভা-পরবর্তী সময়ে হেমিংয়ের ছোঁয়ায় মিরপুরের উইকেট কতটা স্পোর্টিং হলো, সেটাও দেখার বিষয়।

কালো মাটির উইকেট কিছুটা ট্রিকি হয়ে থাকে। এ ধরনের কন্ডিশনে স্পিনাররা বেশি সুবিধা পান। গতকাল উইকেট দেখার পর ড্যারেন স্যামির কাছে কন্ডিশন কিছুটা রহস্যজনক মনে হয়েছে। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জানি না, ঠিক বর্ণনা করতে পারব কিনা… আসলে এমন কিছু আগে কখনও দেখিনি। আমরা সবাই জানি, উপমহাদেশের চ্যালেঞ্জ কেমন, বিশেষ করে ব্যাটারদের জন্য।’

ক্রীড়া সাংবাদিক, খেলোয়াড়েরা আগে থেকেই এই পিচ সম্পর্কে অবগত থাকলেও সাধারণ দর্শকরা এমন পিচ দেখে অবাকই হয়েছেন। প্রথম ইনিংসের অর্ধেক খেলা বিশ্লেষণে বলা যায় যে, মিরপুরের এই কালো পিচ স্পিন সহায়ক। রোমারিও শেফার্ড, খারি পিয়েরের সামনে কঠিন সময় কাটছে নাজমুল–হৃদয়ের। উইকেটে এরইমধ্যে দেখা যাচ্ছে টার্ন। অনেক বলই যাচ্ছে নিচু হয়ে। তাই অনেকটা টেস্ট মেজাজেই ইনিংস গড়তে হচ্ছে ব্যাটারদের।

শ্রীলঙ্কান গামিনি ডি সিলভা ১৬ বছর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কিউরেটর ছিলেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে যেমন উইকেট চাওয়া হয়েছে, তেমনটিই গড়েছেন তিনি। যদিও ভালো উইকেট বানাতে না পারার অভিযোগ তুলে গামিনিকে বদলি করা হয়েছে রাজশাহীতে। তাঁর জায়গায় টার্ফ ম্যানেজমেন্ট হেড করে যাকে আনা হয়েছে, সেই টনি হেমিংয়ের কাছে প্রত্যাশা অনেক। 

মিরপুরেও ভালো উইকেটে খেলতে চান ক্রিকেটাররা। সক্ষমতা থাকলেও হেমিং ভালো উইকেট দিতে পারছেন না। কারণ ভালো উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি করার জন্য এ মুহূর্তে বাংলাদেশের দরকার পয়েন্ট। যে কোনো মূল্যে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করতে হবে।

পাঠকের মন্তব্য