ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ইন্ডাকশন ডে অনুষ্ঠিত

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ইন্ডাকশন ডে ইউনাইটেড অনুষ্ঠিত হয় ৩ নভেম্বর ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে। অনুষ্ঠানটি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের এমবিবিএস কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন ও নতুন পেশাজীবনের সূচনা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড গ্রুপের চিফ অ্যাডভাইজর জনাব হাসান মাহমুদ রাজা। তিনি বলেন, ইউনাইটেড গ্রুপ যদিও একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, তবে এটি সেবার গুণগতমান ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে পরিচালনা করা হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে ইউনাইটেড গ্রুপ হসপিটাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে, যাতে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বমানের চিকিৎসা ও শিক্ষায় অভিগমন করতে পারে।

ইউনাইটেড গ্রুপের হেলথকেয়ার ডিভিশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, এমবিবিএস কোর্সে ৮০% শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়া ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হসপিটালের জন্য বড় অর্জন, যা আগামী ব্যাচের জন্য নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। তিনি আরও বলেন, এখন শিক্ষার মান আরও উন্নত করার ও এই মানদণ্ড অতিক্রম করার সময় এসেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ডাঃ মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, শুধুমাত্র একাডেমিক জ্ঞান নয়, নৈতিক চিকিৎসা চর্চা এবং রোগীকেন্দ্রিক মনোভাব একজন চিকিৎসকের মূল দায়িত্ব।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডাঃ শেখ মহিউদ্দিন বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো দক্ষ চিকিৎসক তৈরি ও স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি নতুন সদ্য পাশ করা চিকিৎসকদের পরামর্শ দেন, একজন চিকিৎসকের সাফল্য কেবল জ্ঞান অর্জনে নয়, মানবিকতা, সততা ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাতেই নিহিত।

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হসপিটালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ এ. কিউ. এম. মোহসেন বলেন, একজন শিক্ষানবিস চিকিৎসকের জন্য একজন মেন্টর থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন, তারা যেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পথ অনুসরণ করে নিজেদের গড়ে তোলেন। পেশাগত সন্তুষ্টি আসে তখনই, যখন তারা একই দৃঢ়তা, সহমর্মিতা ও সততার সঙ্গে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।

প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবদুল ওয়াকিল, অনুষ্ঠানটির সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং ভবিষ্যৎ চিকিৎসাজীবনে সততা, সহানুভূতি ও আজীবন শেখার মানসিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দেন।

ইউনাইটেড হেলথকেয়ারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, প্রশাসনিক প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়। এটি শুধু শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি নয়, বরং ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের একাডেমিক উৎকর্ষ ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা শিক্ষার ধারাবাহিকতার প্রতিফলন। অনুষ্ঠানটি ছিল একটি গর্বের মুহূর্ত, যা শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও নতুন পেশাজীবনের সূচনা একসাথে উদযাপন করে।

পাঠকের মন্তব্য