সৃজিত খুব ছেলেমানুষ, আয়রার থেকে ওর বয়স খুব বেশি নয়: মিথিলা

কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় ৪৪-এ পা দিলেন। তার জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয় উদযাপন। মেয়ে আয়রাকে নিয়ে সৃজিতের জন্য কেক কাটেন মিথিলা। এখানেই শেষ নয় স্ত্রী মিথিলার কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেলেন সৃজিত। বাংলাদেশি গায়ক শাফিন আহমেদের ‘আজ তোমার জন্মদিন’ গানটির ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেন মিথিলা। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় জন্মদিন সঙ্গীত জন্মদিনে তোমাকে উৎসর্গ করলাম সৃজিত।'

মিথিলার জীবনজুড়ে এখন সৃজিত। জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও গিফট দেওয়ার পাশাপাশি লিখে জানালেন ভালোবাসা। মিথিলা সৃজিতকে নিয়ে কলকাতার এই সময়ে লিখেছেন কলাম। সেখানে শব্দে শব্দে সৃজিতের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করেন তিনি। 

সৃজিতকে উদ্দেশ্য করে মিথিলার সেই লেখা-

জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী এই বিশেষ দিনগুলো সেলিব্রেট করার ক্ষেত্রে আমি যতটা উৎসাহী, সৃজিত ঠিক ততটাই উদাসীন। মার্ক জাকারবার্গের হাতযশে পরিচয় হওয়ার পরে ২০১৯ সালে ওর প্রথম জন্মদিন। আমি তখন একটা কনফারেন্সের কাজে আমেরিকায়। হঠাৎ করে সেখান থেকে সোজা কলকাতায় এসে জন্মদিনে চমকে দিয়েছিলাম। সেই সঙ্গে রাতে বন্ধুদের নিয়ে সারপ্রাইজ ডিনার।

এর পরের বছর, দ্বিতীয় জন্মদিনে সৃজিত শুটিংয়ে মুম্বাইতে ছিল। এবারও তাই। জন্মদিন পালন নিয়ে তার কোনও উৎসাহই নেই। কিন্তু আমি কী আর তা হতে দিতে পারি! তাই এবার আমি একা নয়, একসঙ্গে বার্থডে উইক কাটাব বলে আইরাকে নিয়ে মুম্বাইয়ে চলে এলাম । কিন্তু, এসে দেখি ব্যস্ত নির্মাতা হায়দরাবাদে শ্যুটিংয়ে রয়েছে। রাত ১২টার আগেই অবশ্য মুম্বাই ফিরে এসে আমাদের চমকে দিয়েছে। তারপর আইরা, আমি আর সৃজিত জমিয়ে সেলিব্রেট করেছি।

জন্মদিন বলতে ভীষণ আড়ম্বর, জাঁকজমক করে বড় পার্টি দেওয়া নয়, আমার কাছে জন্মদিন পালন মানে পরিবারের সঙ্গে একান্ত আপন কিছু মুহূর্ত কাটানো। এছাড়া প্রিয়জনকে তার পছন্দের জিনিস উপহার দেওয়া, না হয় রান্না করে খাওয়ানো...। এই ছোট্ট জীবনে অনেক অনেক কাজের মাঝে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোটাই আশীর্বাদস্বরূপ। তার উপর যদি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো কাজ পাগল লোক হয় আর দু'জনকে দু'দেশের একাধিক শহরে কাজের জন্যে উড়ে বেড়াতে হয়, তবে তো কথাই নেই। এবছর অতিমারির কারণে আমার জন্মদিনে দু'জনে দুই দেশে আটকে ছিলাম। ভিডিও কলেই সৃজিত আর আইরার সঙ্গে আমার এবছরের জন্মদিন উদযাপন করতে হয়েছে।

এই অনিশ্চিত জীবনে হয়তো প্রতিটি দিনই বিশেষ দিন, প্রতিটা মুহূর্তই অমূল্য। কিন্তু, সৃজিতের জন্ম শুধু তার মা-বাবাপরিবার নয়, এক প্রজন্মের বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক ও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যে আশীর্বাদস্বরূপ। অন্যদিকে, আইরা আর আমার জন্যে সৃজিত শুধুই যেন ভেজালহীন সোজাসাপটা বন্ধুত্ব-খুনসুটি-ঝগড়া-অভিমান-ভালবাসার খোরাক। সংসারী সৃজিত ভীষণ ছেলেমানুষ। আয়রার থেকে ওর বয়সের ফারাক খুব একটা বেশি নয়। আজ সৃজিতের জন্মদিনে ওর সুস্থতা, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করি। শুভ জন্মদিন মি. মুখার্জি।

পাঠকের মন্তব্য