অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডিসহ ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
-
- - নিজস্ব -
- প্রতিবেদক --
- ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতে দুটি পৃথক ঘটনায় উদ্বেগজনক চিত্র ফুটে উঠেছে। একদিকে খুলনায় গ্রাহকের প্রায় ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্যদিকে, এস আলম গ্রুপের ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি ২০২৪ সালে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল লোকসান দেখিয়েছে।
দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম সোমবার (১৭ নভেম্বর) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. শিরিনসহ মোট ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাদাৎ হোসেন, ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান ফরহাদ মাহমুদ, এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান আহাম্মেদ আসলাম আল ফেরদৌস এবং খুলনা অঞ্চলের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তা। এছাড়া ‘মুন মানহা’ নামক এজেন্ট শাখার মালিক ও টেলারকেও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের খুলনার আড়ংঘাটা বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘মুন মানহা’ এজেন্ট শাখায় ৫০ জন গ্রাহক বিভিন্ন সময়ে এক কোটি ১৭ লাখ টাকা জমা রাখেন। কিন্তু শাখাটি হঠাৎ বন্ধ করে দিয়ে গ্রাহকদের ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে শাখাটি চালু হয় এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আকস্মিকভাবে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে এর এজেন্ট এস এম সোহেল মাহমুদ ও অন্যরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। তদন্তে খুলনা অফিসের কর্মকর্তাদের তদারকিতে চরম উদাসীনতার প্রমাণ পাওয়া যায়। ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালায় এজেন্টের মাধ্যমে ঘটা যেকোনো অনিয়মের দায় ব্যাংকের ওপর বর্তানোর কথা থাকলেও প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত বা দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে এই মামলা দায়ের করে।