মাছ ধরার নামে দেশে দেদারসে বিকোচ্ছে ভারতীয় মাদক 'জামাই রাম'
- - নিউজ রুম -
- এডিটর --
- 28 October, 2021
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় আমরা সবাই অল্প স্বল্প ছিপ বা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার প্রতি আগ্রহী। আজকাল অনেকেই কিনা সৌখিনতার বসে মাছ ধরে। আর আমাদের দেশে এজন্য এলাকাভিত্তিক গড়ে উঠেছে অনেক ছিপ বড়শির দোকান যেখানে মাছ শিকারের সরঞ্জাম সহজলভ্য। বিশেষ করে করোনাকালে ফেসবুকে এসব পণ্য দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই এই লকডাউনে বাসায় বসে পণ্য হাতে চান।
এদিকে সৌখিনতাকে ভিত্তি করে আবার গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ফিশিং গ্রুপ। এসব গ্রুপে বাহারি বিভিন্ন মাছ শিকারের পণ্যের পোস্ট দেখে অনেকেই এসব কিনছেন।
সাম্প্রতিককালে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে চোখে পড়ার মত বিষয় মাছ শিকারের জন্য "রাম"। "রাম" একটি মাদক হলেও জনসম্মুখে চলছে এর জমজমাট বিক্রি। বাংলাদেশের প্রায় সব মাছ শিকারের গ্রুপেই একটি পোস্ট নজরে পড়ে "জামাই বাবা xxx রাম"। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় মাছ শিকারের অযুহাতে বাংলাদেশের প্রায় সব ছিপ বড়শির দোকানেই আজকাল বিক্রি হচ্ছে মাদক। বাহারী সব নাম দিয়ে এসব পণ্যের বিক্রয় চলছে। এসব পোস্ট এর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় আইডিটি যশোরের কোন এক ব্যক্তির। ভারতীয় রাম সরাসরি তার মোবাইল নাম্বার দেয় অর্ডার করতে যোগাযোগ এর জন্য। ফেসবুকে এসব পোস্টে আগ্রহী ক্রেতাদের সংখ্যাও কম নয়।
বাংলাদেশ সরকার এর মাদকদ্রব্য অধিদফতর এর সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এভাবে মাদকদ্রব্য আমদানী, বিক্রয় বা জনসম্মুখে প্রচারের কোনো সুযোগ নেই এবং তা স্পষ্টতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য সুস্পষ্টভাবে রয়েছে জেল জরিমানার বিধান। অন্যদিকে মাছ শিকারে এই সৌখিনতাকে পুজি করে গড়ে উঠেছে প্রায় হাজার কোটি টাকার বাজার। ঢাকার চকবাজার, পল্টন, মহাখালীর বিভিন্ন ছিপ বড়শির দোকানে বা চট্রগ্রামের বিভিন্ন ছিপ বড়শির দোকানে গেলেই তা স্পষ্টত বোঝা যায়।
এছাড়াও ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ বা পেইজ প্রতিদিনের ক্রেতাভিত্তিক কুরিয়ার করার ছবি ও মালামালের ছবি বলে দেয় এই বাজারের আয়তন বার্ষিক হাজার কোটি টাকারও বেশী। এর জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট কোন বিধান বা নীতিমালা না থাকায় সরকার হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব!