বিশ্বকাপ স্মরণীয় করতে রাখতে চাই : নিগার

তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে নামবে বাংলাদেশ নারী দল। নিগার সুলতানা জৈতির নেতৃত্বে টাইগ্রেসরা মুখিয়ে আছে বিশ্বকাপের মঞ্চে নামার জন্য।

আগামী ৫ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। তার আগে সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে টাইগ্রেসরা।

প্রথমবার বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে খেলতে গেলেও টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা যেন ভয়ডরহীন। প্রতিপক্ষদের আগেই ধারণা দিয়ে দিলেন নিজেদের শক্তি সম্পর্কে।

নিগারের মতে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবে দলের বোলাররা। জাহানারা আলম, সুরাইয়া আজমিন, নাহিদা আক্তার, রুমানা আহমেদ, সানজিদা আক্তার মেঘলাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যদি বিশ্বকাপেও দেখাতে পারে তবে দারুণ কিছু হবে বলে বিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক।

‘আমাদের ভালো বোলিং ও ব্যাটিং ইউনিট আছে। কিন্তু আমার মনে হয় সবাই জানে আমাদের বোলিং ইউনিট বেশি ভালো। আমরা আমাদের শক্তির জায়গাটা কাজে লাগিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব।’

গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। যে কয়েকটা ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বাংলাদেশ তার বেশির ভাগ ম্যাচেই কৃতিত্ব ছিল বোলারদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই কঠোর পরিশ্রম করছে বাংলাদেশ।

জৈতি বলেছেন, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কারণ, জানতাম এটাই আমাদের সেরা সুযোগ। যখন কোয়ালিফয়ারে গিয়েছি, নিজেরা একে-অন্যকে বলেছি, এটাই আমাদের সেরা সুযোগ। কারণ, এটা আমাদের সেরা স্কোয়াড। আমাদের বিশ্বকাপে আসতেই হতো। কারণ, চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেও ওয়ানডেতে একটাও পারিনি। আমার মনে হয় এটা বড় সুযোগ দেখানোর আমরা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।’

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার খেলবে বাংলাদেশ। আগের যত অভিজ্ঞতা সবার মাঝে, সবার সেসব ভাগাভাগি করেছে সতীর্থদের সঙ্গে।

“আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। ভালো সম্পর্ক আছে কয়েকজনের সঙ্গে। তারা অনেক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছে কন্ডিশন ও কীভাবে খেলতে হবে এসব বিষয়ে। কোনো কোনো খেলোয়াড় তাদের অভিজ্ঞতা বলেছে কীভাবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’

সব ছাপিয়ে নিগারের চাওয়া বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করে রাখার। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসে। জৈতি জানিয়েছেন, সবাই মুখিয়ে আছে নিজের সেরাটা দিতে।

‘আমরা এই বিশ্বকাপটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। কারণ এটা আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ। নিজেদের সেরাটা দিতে চাই এখানে। আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, যারা আমার কাজটা সহজ করে দেয়। তারা জানে, আমার দলে তাদের কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। মূল ম্যাচে কী করতে হবে সেটাও তাদের জানা। আমার মনে হয় অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে যারা ভালো করেছে কয়েক মাসে। অনেক অলরাউন্ডার আছে, তারা শেষ টুর্নামেন্টে ভালো এফোর্ট দিয়েছে। আশা করি, আমরা ভালো করবো।”

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), রুমানা আহমেদ, সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, ফারজানা হক পিংকি, শামীমা সুলতানা, ফাহিমা খাতুন, রিতু মনি, মুর্শিদা খাতুন, নাহিদা আক্তার, শারমিন আক্তার সুপ্তা, লতা মন্ডল, সোবহানা মোস্তারি, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, সানজিদা আক্তার মেঘলা এবং সুরাইয়া আজমীন।

পাঠকের মন্তব্য