বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচারের ১১তম আসর উদ্বোধন

দেশের শীর্ষস্থানীয় পেইন্ট ব্র্যান্ড বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড (বিপিবিএল), ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি)-এর সহযোগিতায় বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার (বিএইএ)-এর ১১তম আসরের উন্মোচন করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর হোটেল আমারির ইডেন গ্র্যান্ড বলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।

গত ২২ বছর ধরে বার্জার এবং আইএবি যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান করে আসছে। স্থাপত্যে সেরা কাজগুলোর স্বীকৃতি প্রদানে ২০০৩ সালে “বার্জার ইয়াং আর্কিটেক্টস অ্যাওয়ার্ড” নামে সূচনা করে; যা ২০০৭ সালে নাম পরিবর্তিত হয়ে “বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকিচার (বিএইএ)” হয়।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দের সঙ্গে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপালী চৌধুরী এবং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি)-এর পক্ষে সহ-সভাপতি (জাতীয় বিষয়ক) স্থপতি মোহাম্মদ আলী নকী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএবি’র সাধারণ সম্পাদক স্থপতি নবী নেওয়াজ খান, বিপিবিএল’র সিওও ও পরিচালক জনাব মহসিন হাবিব চৌধুরী; সিবিও এ কে এম সাদেক নেওয়াজ, সিএসপিইজেড প্রধান সাব্বির আহমেদ, অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর স্থপতি আছিয়া করিম, ডেপুটি ডিরেক্টর স্থপতি আবু মুসা ইফতেখার, ডেপুটি ডিরেক্টর নাযিফা তাবাসুম । তাছাড়া দেশের বিশিষ্ট স্থপতি, আইএবি’র ২৫তম কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের অন্যান্য কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়, আবেদনকৃত প্রজেক্ট থেকে সেরা হিসেবে সাতটি প্রজেক্ট নির্বাচন করা হবে এবং প্রত্যেক বিজয়ী পাবেন ট্রফি ও সার্টিফিকেটের সাথে ২ লাখ টাকা পুরস্কার।

উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপালী চৌধুরী বলেন, অসাধারণ সব ডিজাইনের কারিগর দেশের স্থপতিদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা প্রায়ই অগোচরে থেকে যায়। ২২ বছর অংশ হতে পেরে আইএবি গর্বিত।

এ বছর বিচারক প্যানেলে থাকছেন স্বনামধন্য স্থপতি আবু হায়দার ইমামউদ্দিন, স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার, স্থপতি তামান্না সাঈদ, স্থপতি গিবসন রিহ, কিরা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমেদ সাইমন। প্রকল্প মনোনীত করার শেষ তারিখ জুন ১৪, ২০২৪। ধরে চলমান এই অ্যাওয়ার্ডের লক্ষ্যই তাদের পরিশ্রমকে মূল্যায়ণ করা এবং প্রতিভাকে সম্মান জানানো। আমরা আমাদের দেশের স্থপতিদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহ প্রদানে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ধারাবাহিকতার সাথে ভবিষ্যতেও চালিয়ে যেতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্থপতি মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, এই ধরণের অনুষ্ঠান স্থপতিদের অনুপ্রেরণা ও উৎকর্ষ সাধনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

পাঠকের মন্তব্য