অলিম্পিকে ঝুঁকিপূর্ণ ইভেন্ট ফেন্সিংয়ে লড়লেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী

তরবারির খেলা ফেন্সিং। যেটা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিযোগীরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান এই খেলা খেলতে গিয়ে। পড়ে যায় কালশিটে। এবারের অলিম্পিক গেমসে এমনই একটি ঝুঁকিপূর্ণ খেলায় গর্ভাবস্থায় লড়াই করলেন মিসরীয় নারী নাদা হাফেজ।

তিনি ফেন্সিংয়ে ব্যক্তিগত সাবরে ইভেন্টে অংশ নেন। যেখানে কোমর থেকে মাথা পর্যন্ত যেকোনো জায়গায় আঘাত করলেই পয়েন্ট পাওয়া যায়। প্রথম ম্যাচে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তারতাকোভস্কিকে ১৫-১৩ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেন। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ১৫-০৭ পয়েন্টে হেরে যান দক্ষিণ কোরিয়ার ফেন্সার জিওন হাইয়াংয়ের কাছে।

কায়রোর এই ২৬ বছর বয়সী নারী ফেন্সার শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি জানান।

আবেগঘন সেই বার্তায় তিনি লিখেন, ‘আপনারা লড়াইয়ের মঞ্চে কেবল দুজনকে লড়তে দেখছেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে ছিল তিনজন। আমি, আমার প্রতিপক্ষ এবং আমার অনাগত সন্তান। আমি এবং আমার অনাগত সন্তান সমানভাবে লড়াই করেছি চ্যালেঞ্জ নিয়ে। এটা যেমন শারিরিক লড়াই ছিল, তেমনি মানসিকও।’

‘গর্ভাবস্থার রোলারকোস্টার যাত্রাটা আসলে সত্যিই বেশ কঠিন। জীবন ও খেলাধুলার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার বিষয়টি কিন্তু কম কঠোর ছিল না। তবে আমি সেটা উতরে গিয়েছি। এক্ষেত্রে আমার স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের যে সমর্থন পেয়েছি তাতে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। তাদের সহযোগিতার কারণেই আমি এতোদূর আসতে পেরেছি।’

‘আমি তিনবারের অলিম্পিয়ান। তবে এবার আমি অলিম্পিকের মঞ্চে আমার লিটল অলিম্পিয়ানকেও বহন করছি।’

প্যারিস অলিম্পিকে ফেন্সিংয়ে নারীদের ব্যক্তিগত সাবরে প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জিতেছেন ফ্রান্সের মানন ব্রুনেট। রৌপ্য জিতেছেন ব্রুনেটের স্বদেশি সারা বালজার। আর ব্রোঞ্জ জিতেছেন ইউক্রেনের ওলগা খারলান।

পাঠকের মন্তব্য