প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের
-
- - নিউজ -
- ডেস্ক --
- ১০ নভেম্বর, ২০২৫
‘লুটপাট ও অর্থপাচারের মামলায় অভিযুক্ত হয়েও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি পদে বহাল হাবিবুর’ শিরোনামে জাগরণ এক্সপ্রেস এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি।
কোম্পানির জনসংযোগ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল আহমেদ রহমানী স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আপনার অনলাইন সংবাদপত্রে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত কিছু বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ আমাদের গোচরীভূত হয়েছে। সংবাদে প্রকাশিত তথ্যসমূহ নিছকই মনগড়া, বাস্তবতা বিবর্জিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এ জাতীয় অসত্য প্রতিবেদন ও সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহীকে জড়িয়ে প্রতিবেদনে কিছু বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, যা প্রকৃত সত্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রতিবেদনে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৪১৯তম বোর্ড সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নিয়ে যে সকল বিষয়ে আলোচনার খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে সভায় ঐ সংক্রান্ত কোনো এজেন্ডা ছিল না।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগসমূহ সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা কর্তৃক প্রমাণিত নয় বরং ভিত্তিহীন বিধায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পূর্বেই তাকে এমডি হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়। যাচাই বা প্রমাণিত হওয়ার পূর্বে কাউকে অভিযুক্ত করা কোনভাবেই সমীচিন নয় বরং মানহানিকর। সম্প্রতি তাকে নিয়ে পুনরায় বিভ্রান্তিকর ও অসত্য অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (ডিভিশন-২) কর্তৃক গত ০৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়্যারম্যন বরাবর প্রেরিত চিঠি; সুত্র নং: বিআরপিডি (সিএমএস)/৬৫১/৯(২৮)/খ/২০২৫-১৪৪৯১- এর মাধ্যমে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করে যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ‘আপনাদের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য আপনাকে পরামর্শ দেয়া হলো’।
প্রতিবেদনে আরো ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ইউনিয়ন ব্যাংকে দায়িত্ব পালনকালে মোঃ হাবিবুর রহমান এস আলম গ্রুপের অনুকূলে অনিয়মিত ঋণ অনুমোদনে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য। তিনি উক্ত সময়ে ইউনিয়ন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ঋণ অনুমোদনের কোনো ক্ষমতা বা এখতিয়ার তার ছিল না। ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ অনুমোদনের ক্ষমতা কেবল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকে। সংশ্লিষ্ট ফাইল বা অফিস নোটে কেবল প্রক্রিয়াগত মন্তব্য বা পর্যবেক্ষণমূলক নোট প্রদান করা হয়েছিল, যা কোনোভাবেই ঋণ অনুমোদনের সমতুল্য নয়।
এছাড়া সংবাদে মোঃ হাবিবুর রহমান-এর নামে একাধিক দুদক মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উল্লিখিত মামলা (নং ২৭২/২২) বর্তমানে বিচারাধীন এবং তিনি সংশ্লিষ্ট মামলায় বৈধভাবে জামিনপ্রাপ্ত ও নির্দোষ প্রমাণের প্রত্যাশী। এ মামলার সাথে তার বর্তমান কর্মস্থল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের কোনো সম্পর্ক নেই। আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে এভাবে সংবাদ প্রকাশ করা আইনবিরুদ্ধ ও নীতিবহির্ভূত। এর পরেও সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়কে নিয়ে ভিত্তিহীন অযাচিত সংবাদ প্রকাশ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং অশুভ চক্রান্ত হিসেবেই প্রতীয়মান হয়।
ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে তাদের সাবেক ব্যাংকের কিছু অনিয়ম নিয়ে আনীত অভিযোগসমূহ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। এখানে উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যে কোন বিষয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়াও ব্যাংকের তৎকালীন কর্মরত ব্যক্তিদের তলব করে তথ্যের সঠিকতা যাচাই করে থাকেন, যা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ। তথ্য যাচাইয়ের জন্য তলব করা কোন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত হিসেবে আখ্যায়িত করা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।
ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা এবং প্রমাণিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তাকে দুর্নীতি, জাল সনদ, অর্থ আত্মসাত এবং অযোগ্যতার দায়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে চাকুরি হতে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সকল কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মানহানি সহ ব্যাংকের সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যসমূহ ব্যাংকের প্রকৃত চিত্রকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নেতিবাচক আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর এবং সুষ্ঠ সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থী। কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো একজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে এমন মিথ্যাচার প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর, সেই সাথে সমাজে প্রতিষ্ঠিত একজন সম্মানিত ব্যক্তির জন্য মানহানিকর। এ ধরণের ধরণের বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অসত্য তথ্য আপনার সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। অন্যথায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।