ড্রামে খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, মূল আসামি বন্ধু

হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ড্রাম থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নিহত আশরাফুল হকের বোন আনজিনা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। এতে নিহত আশরাফের বন্ধু জরেজকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীল রঙের ড্রামে টুকরা টুকরা মরদেহ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক মরদেহের পরিচয় শনাক্ত না হলেও পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মো. আশরাফুল হক (৪২), গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জের গোপালপাড়ায়। তার বাবার নাম মো. আব্দুর রশিদ ও মায়ের নাম মোছা. এছরা খাতুন।

আজ সকালে মরদেহ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন আশরাফুল হকের পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না আশরাফুলের। তিনদিন আগে বন্ধু জরেজের সাথে ঢাকা আসেন তিনি। ঢাকা আসার পর থেকেই মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম গতকাল জানান, মঙ্গলবার বাড়ি থেকে আশরাফুল ঢাকায় আসেন। বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কথা হয়। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এবং আলু আমদানি করতেন তিনি। পণ্য আমদানির জন্য তার সরকারি লাইসেন্স রয়েছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, ড্রামের ভেতর থেকে ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ২৬ টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বোন আনজিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।এতে নিহত আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

আশরাফুলকে হত্যার ঘটনায় এখনও জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুত জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে বলে জানানওসি খালিদ মনসুর

পাঠকের মন্তব্য