১০০ টাকার রিচার্জে ‘অসন্তোষ’ মেট্রোরেল যাত্রীদের
-
- - নিজস্ব -
- প্রতিবেদক --
- ২২ অগাস্ট, ২০২৫
রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেলে চড়ার স্থায়ী (এমআরটি বা র্যাপিড) পাসে যাত্রীদের ন্যূনতম ১০০ টাকা রিচার্জ করতে অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ২৩ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে বিষয়টি। অভিযোগ উঠেছে, অনুরোধের আড়ালে যাত্রীদের ১০০ টাকা রিচার্জ করতে বাধ্য করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
শুধু তা-ই নয়, ১২০ টাকা রিচার্জ করতে গেলে স্টেশনের টিকিট অফিস মেশিনের (টম) কর্মীরা ১০০ টাকা রিচার্জ করিয়ে বাকি ২০ টাকা ফেরত দিচ্ছেন যাত্রীদের। এর আগে যাত্রীরা ন্যূনতম ২০ টাকা রিচার্জ করে যাত্রা করতে পারতেন। কিন্তু বর্তমান সিদ্ধান্ত সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে।
যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন তাদের অনেক সময় কম রিচার্জের প্রয়োজন হয়। বিষয়টি এমন নয় যে, সবাই ইচ্ছে করে কম রিচার্জ করেন। অনেক সময় প্রয়োজনও হয় কম, হঠাৎ পকেটে কম টাকা থাকে। যদি ১০০ টাকাই নির্ধারণ করা হয়, তাহলে অনেকেই প্রয়োজনীয় সময় মেট্রোরেল ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া, অনলাইনে রিচার্জেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। এভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সাধারণ যাত্রীদের জন্য জুলুম
তাদের অনেকে বলছেন, যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন তাদের অনেক সময় কম রিচার্জের প্রয়োজন হয়। বিষয়টি এমন নয় যে, সবাই ইচ্ছে করে কম রিচার্জ করেন। অনেক সময় প্রয়োজনও হয় কম, হঠাৎ পকেটে কম টাকা থাকে। যদি ১০০ টাকাই নির্ধারণ করা হয়, তাহলে অনেকেই প্রয়োজনীয় সময় মেট্রোরেল ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া, অনলাইনে রিচার্জেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। এভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সাধারণ যাত্রীদের জন্য জুলুম।
বিষয়টি ইতোমধ্যে লিখিতভাবে ডিএমটিসিএল-কে জানিয়েছে ফেসবুকভিত্তিক মেট্রোরেল যাত্রীদের গ্রুপ ‘মেট্রোরেল প্যাসেঞ্জার্স কমিউনিটি-ঢাকা’। চিঠিতে গ্রুপটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মেট্রোরেল আধুনিক বাংলাদেশের গণপরিবহন ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তবে দুঃখজনকভাবে সম্প্রতি যাত্রীদের অভিযোগে জানা যাচ্ছে যে, কিছু স্টেশনে কর্তব্যরত স্টাফরা যাত্রীদের ন্যূনতম পরিমাণ অর্থ (যেমন: ২০ বা ৫০ টাকা) রিচার্জ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। সমপরিমাণ ভাংতি টাকা প্রদানের পরও তারা ন্যূনতম ১০০ টাকা রিচার্জ বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন, যাত্রীদের সঙ্গে অপেশাদার আচরণ করছেন যা দায়িত্বে অবহেলার শামিল এবং যাত্রীদের মৌলিক ও ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন করছে।’