চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের ৯৩ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: গবেষণা

জিনোম সিকোয়েন্সের ফলে দেখা গেছে, ৩০টি নমুনার মধ্যে ২৮টিতেই ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। অর্থাৎ চট্টগ্রাম অঞ্চলের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের দেহে ৯৩ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ৯৩ শতাংশই এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

বন্দরনগরী ও জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের জিনোম সিকোয়েন্স করে এই তথ্য পেয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)।

গবেষণায় জিনোম সিকোয়েন্স করতে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ- বিসিএসআইআর।

১ থেকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সার্চ-কভ-২ এর ৩০টি নমুনার পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করে বিসিএসআইআর। ৩০টি নমুনার মধ্যে ২৮টিতেই করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে।

‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন’ শিরোনামে হয়েছে গবেষণাটি। যাদের নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে তাদের বয়স ২১ থেকে ৭৪ বছরের মধ্যে। ৩০ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী। রোগীদের মধ্যে অর্ধেক গ্রামের, বাকি অর্ধেক শহরের বাসিন্দা।

বিসিএসআইআরের দুই গবেষক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন।

জিনোম সিকোয়েন্সের ফলে দেখা গেছে, ৩০টি নমুনার মধ্যে ২৮টিতেই ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। অর্থাৎ চট্টগ্রাম অঞ্চলের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের দেহে ৯৩ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

 

পাঠকের মন্তব্য