আত্মসমর্পণ করতে গেলেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি, বিচারক ব্যস্ত শুনানি হয়নি

রিজেন্ট কেলেঙ্কারির মামলায় আত্মসমর্পণ করতে আদালতে এসেও ফিরে গেলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ।

দুদক এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় মঙ্গলবার তিনি ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে হাজির হন। সেখানে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদনও করেন।

কিন্তু বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় আজাদের আবেদনের শুনানি করতে পারেননি। আদালত তাকে পরে অন্য কোনো দিন আসতে বলেন।

এরপর আইনজীবী আত্মসমর্পণের আবেদন তুলে নেন এবং আজাদ আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন বলে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো.  জুলফিকার জানান।

লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে ‘সরকারি অর্থ আত্মসাতের’অভিযোগে এ মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবুল কালাম আজাদসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন।

বাকি চার আসামি হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।

পরস্পর যোগসাজশে লাইসেন্সের মেয়াদহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ‘ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে’ রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক সই এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, “সেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।

“এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরেছেন।”

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়।

গত বছর ২৩ সেপ্টম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

পরে মামলার বাদী ফরিদ আহমেদকেই তদন্তের দায়িত্ব দেয় দুদক। দীর্ঘ এক বছর পর এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে প্রতিবেদন দিলে গত ২০ সেপ্টেম্বর তা অনুমোদন দেয় কমিশন।

মামলায় আবুল কালাম আজাদের নাম না থাকলেও তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তাকে আসামি করা হয়।

পাঠকের মন্তব্য