যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন-মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
- - নিউজ রুম -
- এডিটর --
- 22 September, 2024
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা করেছেন। ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোট কোয়াডের এবারের সম্মেলনের আলোচনায়ও উঠেছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি।
বৈঠকের পর নিউইয়র্কে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে বাইডেনের বাসভবনে ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিক্রম মিশ্রি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে অনুষ্ঠিত কোয়াড সম্মেলনের আলোচনার একটি মূল বিষয় ছিল ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিও। বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিষয়ে সেখানে মতবিনিময় হয়েছে।
কোয়াড নেতাদের আলোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মিশ্রি বলেন, আমি বলেছি, এসব আলোচনা আঞ্চলিক বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্ত। এটা হয়ত একপক্ষ অথবা অন্যপক্ষের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু অঞ্চলের বাইরেও এর তাৎপর্য রয়েছে। আর এই প্রেক্ষাপটে কয়েকটি পরিস্থিতি আলোচনার জন্য এসেছিল। বাংলাদেশও আলোচনায় স্থান পেয়েছে এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে...।
এর আগে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর উভয় বিশ্ব নেতার মধ্যে ফোনালাপেও বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বছর তার নিজ শহর উইলমিংটনে কোয়াড জোটের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের চার সদস্যের নিরাপত্তা জোট কোয়াডের এবারের নিরাপত্তা সংলাপে অবাধ, উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার নীতি উঠে এসেছে।
চার নেতার বৈঠকের পর প্রকাশিত এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, কোয়াড ভালোর জন্য এক শক্তি এবং আগের চেয়ে আরও কৌশলগতভাবে ঐক্যবদ্ধ।
উইলমিংটন ঘোষণায় বলা হয়েছে, কোয়াডকে লিডার-লেভেল কাঠামোতে উন্নীত করার চার বছর পর আগের চেয়ে কৌশলগতভাবে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ এই জোট। মঙ্গলের জন্য এক শক্তি, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য বাস্তব, ইতিবাচক এবং স্থায়ী প্রভাব বজায় রাখবে।