আগস্টের পর থেকে কমপক্ষে ৮২ মিলিয়ন ডলারের বন্ড কিনেছেন ট্রাম্প
-
- - নিউজ -
- ডেস্ক --
- ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগস্টের শেষ থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কমপক্ষে ৮২ মিলিয়ন অর্থাৎ আট কোটি ২০ লাখ ডলারের বন্ড কিনেছেন। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নৈতিকতা দপ্তর থেকে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেখা গেছে। খবর রয়টার্সের
দপ্তরটির প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, ট্রাম্প ২৮ আগস্ট থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৭৫টিরও বেশি বন্ড কিনেছেন। ১৯৭৮ সালের স্বচ্ছতা আইনের (নীতিশাস্ত্র আইন) অধীনে করা এই প্রতিবেদনগুলোতে প্রতিটি ক্রয়ের সঠিক পরিমাণ তালিকাভুক্ত করা হয়নি, কেবল বড় পরিসরে উল্লেখ করা হয়েছে। এর তথ্য অনুসারে, বন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে মোট মূল্য ৩৩৭ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
নথিতে দেখা যায়, ট্রাম্পের কেনা বন্ডগুলোর বড় অংশই বিভিন্ন রাজ্য, কাউন্টি, স্কুল জেলা ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের ইস্যুকৃত। পাশাপাশি তার নতুন বিনিয়োগ ছড়িয়ে রয়েছে এমন সব খাতে—যেগুলো তার প্রশাসনের নীতি, বিশেষ করে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ শিথিলকরণের ফলে লাভবান হয়েছে বা হচ্ছে।
ট্রাম্পের বন্ড কেনার তালিকায় রয়েছে চিপ নির্মাতা ব্রডকম ও কোয়ালকম, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা, হোম ডিপো ও সিভিসি হেলথ। এছাড়া ট্রাম্প গোল্ডম্যান শ্যাক্স ও মরগান স্ট্যানলির মতো ব্যাংকগুলোতেও বিনিয়োগ করেছেন।
আগস্টের শেষের দিকে বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর ঋণ ক্রয়ের মধ্যে জেপি মরগানের বন্ড অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত শুক্রবার ট্রাম্প মার্কিন বিচার বিভাগকে প্রয়াত অর্থদাতা ও দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইনের সঙ্গে জেপি মরগানের সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করতে বলেছিলেন।
নথিতে আরও দেখা যায়, মার্কিন সরকার তার নির্দেশে ইন্টেলের একটি শেয়ার অধিগ্রহণের পর তিনি নিজেও ইন্টেলের বন্ড কিনেছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে জানানো হয়েছিল—ট্রাম্প নিয়মিত আর্থিক বিবরণী জমা দিলেও বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে তিনি বা তার পরিবারের কেউ সরাসরি জড়িত নন। একটি তৃতীয় পক্ষ এসব বিনিয়োগ পরিচালনা করে।
জুনে জমা দেওয়া ট্রাম্পের বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্যবসা থেকে আয় এখনও শেষ পর্যন্ত তার কাছেই যায়। এতে সম্ভাব্য স্বার্থসংঘাতের অভিযোগ নতুন করে সামনে এসেছে।
২০২৪ সালের জন্য দাখিল করা সেই বিবরণীতে ট্রাম্প দেখিয়েছেন- ক্রিপ্টোকারেন্সি, গলফ রিসোর্ট, লাইসেন্সিং ও অন্যান্য ব্যবসা থেকে তিনি ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছেন। তার ক্রিপ্টো খাতে সক্রিয়তা সম্পদের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।
রয়টার্সের হিসাবে, জুনের বিবরণীতে ট্রাম্পের মোট সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ১.৬ বিলিয়ন ডলার।