মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে আইনের দ্বারস্থ মিতু ও শিলা
- - নিউজ রুম -
- এডিটর --
- 11 September, 2024
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কয়েকজন নায়িকার সম্পর্কের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তাঁদের নিয়ে ওঠে নিন্দার ঝড়। পুরো ঘটনায় বেশ বিব্রত অভিযুক্ত নায়িকারা। সামাজিকভাবে হয়রানির কারণে শেষ পর্যন্ত আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন চিত্রনায়িকা জাহানারা মিতু ও শিরিন শিলা।
২০২৩ সালে বইমেলায় জাহারা মিতুর কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা ওবায়দুল কাদের। সেই ঘটনার রেশ ধরে সম্প্রতি খবর ছড়িয়ে পড়ে, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মিতুর। সেই খবরের রেশ কাটতে না কাটতে নতুন খবর, বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মিতুর। এমন খবরের পর সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানান নায়িকা।
মিতু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জাহারা মিতু বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যেসব খবর ছড়িয়েছে, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। পুরোপুরি মিথ্যা। ভিউ-বাণিজ্যের কারণেই কাদের সাহেবকে জড়িয়ে আমাকে নিয়ে নিউজ করা হয়েছে। আমি কখনোই মন্ত্রিপাড়ায় যাইনি।
এ বিষয়ে কেউ কোনো প্রমাণ দিতে পারবে না। এমন খবর প্রকাশের পর সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে অনেকে নেতিবাচক সমালোচনা করছে, সামাজিকভাবে আমি হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। জানি, এসব সত্যি নয়, আমিও কোনো ভুল করিনি। কোনো দুর্বলতা থাকলে আমি হয়তো গা ঢাকা দিতাম, ফোন বন্ধ করে রাখতাম। আমি নিজের জায়গায় সৎ আছি বলেই এসব না করে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। যিনি প্রথম এই নিউজ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইনিভাবেই কথা বলতে চাই।’
দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জাহারা মিতু বলেন, ‘ক্রিকেটবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনার সুবাদে অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ভালো সম্পর্ক থাকলেই তো কারও সঙ্গে গোপন সম্পর্ক হয়ে যায় না।’
এদিকে যুবলীগ নেতা আরমান ও সম্রাটের সঙ্গে চিত্রনায়িকা শিরিন শিলার সম্পর্কের খবর ছড়িয়েছে। সেই নেতাদের কারণেই নায়িকার বিলাসবহুল জীবন ও বিদেশ ভ্রমণ বলে মনে করছেন অনেকে। বিষয়গুলো নিয়ে খেপেছেন শিরিন শিলা। মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে সামাজিকভাবে হয়রানির অভিযোগ এনে একাধিক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রমাণ ছাড়া ওই চ্যানেল আমাকে নিয়ে আজগুবি ও ভুয়া তথ্য প্রকাশ করেছে। আমার চরিত্র নিয়ে কথা তুলেছে এবং নেতিবাচক খবর প্রকাশ করেছে। আমি নাকি নানা ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত। দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছি। প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে আমাকে সামাজিকভাবে খুবই হেয় করা হচ্ছে। এতে আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সম্মানহানি হয়েছে। এমন মিথ্যা খবরে একজন শিল্পীর জীবন বিপন্ন হতে পারে, ক্যারিয়ার ধ্বংস হতে পারে। তাই আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।’
মিতু ও শিলা ছাড়াও নিপুণ আক্তার ও সোহানা সাবাকে নিয়েও নানা খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন পোর্টাল ও সামাজিক মাধ্যমে। মিথ্যা খবর দাবি করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন সোহানা সাবা। পরে সেই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন তিনি।